শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
ইশারাত আলী :
জাতীয় শিক্ষা পদক ২০১৭ সাতক্ষীরা জেলার নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার চায়না সরকারী সফরে চীনে গেছেন। শাহিনা আক্তার চায়না কালিগঞ্জ উপজেলার ছনকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তারালী গ্রামের মোহর আলী মোক্তারের ছোট কন্যাএবং সাংবাদিক আহম্মদ উল্ল্যাহ বাচ্চুর স্ত্রী।
১জুলাই সোমবার রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবার আগে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, মর্ডান স্কুল ম্যানেজমেন্টের উপর সরকারি ভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। সফরে চীনের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবো। সে অভিজ্ঞতা আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কাজে লাগাতে পারবো।
শাহিনা আক্তার চায়না উপজেলার তারালী গ্রামে ১৯৭৮ সালের ৫ই ডিসেম্বর জম্মগ্রহন করেন। ১৯৯৪ সালে তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে (এসএসসি) প্রথম বিভাগ, ১৯৯৬ সালে কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ থেকে (এইচএসসি) প্রথম বিভাগ এবং ১৯৯৮ সালে কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে (বিএ) প্রথম বিভাগে পাশ করেন। পরবর্তীতে খুলনা বিএল কলেজ থেকে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাষ্টার্স পাশ করেন।
২০০৬ সালের ২৩ এপ্রিল উপজেলার পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। চাকুরী চলাকালিন সময় প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট পিটিআইতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। সুনামের সাথে শিক্ষকতার কারনে প্রাথমিক শিক্ষার দীপ্তি হিসাবে ২০১০ সালে উপজেলার ছনকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন। শিক্ষাকতায় অনন্য প্রতিভার কারনে ২০১৭ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বচিত হন। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হন শাহিনা আক্তার চায়না। পরে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় মর্ডান স্কুল ম্যানেজমেন্টের উপর সরকারি ভাবে তিনি বিদেশে যাওয়ার সুযোগে চীনে গেলেন।
সংসারিক জীবনে শাহিনা আক্তার চায়না শারাফাত ইমতিয়াজ প্রিন্স নামের এক ছেলে সন্তানের জননী। তার সন্তানটি বর্তমানে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করছে। ছেলেকে মানুষের মত মানুষ তৈরীর পাশাপাশি নিজেকে জীবনের বাকি সময় শিশুদের শিক্ষাদানে কাটাতে চান। শাহিনা আক্তার চায়না আগামীতেএকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। সে কারনে চীন যাত্রাকালে তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
Leave a Reply